* পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত
* রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি
* রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ টোয়াবের
সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া ও রাত্রিযাপন বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে বাস-হোটেল-জাহাজ মালিকসহ বেশ কয়েকটি পক্ষ। পর্যটন-নির্ভর দ্বীপটিতে বসবাসরত ১০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কায় এবার তারা রাজপথে নামছেন।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে কোনো পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দিনে ২০০০ পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন এবং রাত্রিযাপন করতে পারবেন। আর ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে সরকার পর্যটক যাতায়াত বন্ধ রাখবে।
সরকারের এসব সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা কমিটি। তারা বলছে, এমন সিদ্ধান্তে পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাধারণ উদ্যোক্তারা সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন। একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করার পর এবার রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল রোববার (২৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ঘিরে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশের পর্যটন খাতকে বাধাগ্রস্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এক শ্রেণির মানুষ। সম্প্রতি সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক ঘিরে সরকার অনেক বিধিনিষেধ দিয়েছে। এতে দেশের পর্যটন খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেন্টমার্টিন বিষয়ে সরকার ঘোষিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সম্মুখে ‘সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট’ এর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান।
কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে উপস্থিত থাকবে টোয়াব, সেন্টমার্টিন’স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট, ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ট্যাব), ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতি, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন, সেন্টমার্টিন দোকান মালিক সমিতি, বোট মালিক সমবায় সমিতি, মৎস্যজীবী মালিক সমিতি, বাংলাদেশ স্লিপার এসি বাস মালিক সমিতি, জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি-ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কুয়াব) নেতারাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের নেতারা।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা কমিটি আরও জানায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। দ্বীপে লোনা পানি মিঠা পানিতে পরিণত করার নিমিত্তে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। পচনশীল বর্জ্য ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে বায়োগ্যাসে পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্বীপে জেনারেটর ব্যবহার বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব সোলার প্লান্ট স্থাপন করতে হবে এবং ইট, বালু, সিমেন্ট, রড ব্যবহার করে স্থায়ী স্থাপনা তৈরি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সেন্টমার্টিন নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
আন্দোলনে নামছেন বাস-হোটেল-জাহাজ মালিকরা
- আপলোড সময় : ২৭-১০-২০২৪ ১০:০০:১৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৭-১০-২০২৪ ১০:০০:১৪ অপরাহ্ন


নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ